মানসিক চাপ কি? বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মানসিক চাপের সঙ্গা
মানসিক চাপ কি:
পৃথিবীর ইতিহাস থেকে দেখা যায়, ইতিহাসের প্রতিটি শতাব্দী বিশেষ কিছু ব্যাধির দ্বারা উপদ্রুত হয়েছে। যখন পরিবেশের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছিল বা ঔষধির দ্বারা জীবাণু। ধ্বংস করা হয়েছিল তখন প্লেগ, পোলিও এবং নিউমোনিয়া প্রভৃতি ব্যাধিও নির্মূল হয়ে গিয়েছিল। আধুনিক যুগেও একটি বিশেষ ব্যাধি রয়েছে। এই ব্যাধির উপশম ততটা সহজ নয়। এটি ক্রমান্বয়ে মনোরোগ বা হৃদরোগের আকার ধারণ করে। মানুষের পারিবারিক, সামাজিক এবং আবেগীয় জীবনে এটি এক উৎপাতের কারণ। এটি সৃজনশীলতা এবং ব্যক্তিগত দক্ষতাকে অবদমিত করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাধারণত অসন্তোষরুপে এটি সুস্পষ্টভাবে তার রাজ্য বিস্তার করে চলেছে। এর নাম হচ্ছে “মানসিক চাপ”। কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজের গবেষকেরা একে বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ক্লেশদায়ক সামাজিক সমস্যা” হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতবর্ষে এম, এন, সি সংস্কৃতি বিকাশ হবার পর ভারতে পেশাজীবিদের মাঝেও এটি প্রভাব বিস্তার করছে।
সাধারণত কোন ব্যাধি সম্পর্কে আমরা যেভাবে চিন্তা করি মানসিক চাপ তার থেকে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। এর কোন জৈধিক কাঠামো নেই যেমন কোন জীবাণু বা ভাইরাস। তাছাড়া এটি পায়ুপথের অন্ধকার গহ্বরে বা দূষিত জলে ওত পেতে থাকে না। বরং আমরা আমাদের দৈহিক এবং মানসিক কার্যাবলীকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করি তার ফলস্বরূপ এটি ঘটে তাকে।
মানুষের পুরো জীবনের গুণগত মান তার মানসিক পরিস্থিতির দ্বারা পরিচালিত হলেও সে কদাচিৎ মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য সময় অতিবাহিত করে। আমেরিকায় প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন মানসিক সমস্যার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়। আরো অনেকেরই এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন কিন্তু যেকোন কারণে তারা তার সমাধান করতে চায় না বা সমাধান অনুসন্ধান করে না।
প্রযুক্তির দিক থেকে আমেরিকা ভারতের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি উন্নত কিন্তু আমেরিকাতেই বিশ্বের সর্বোচ্চ হারে আত্মহত্যা হয়। এটি নির্দেশ করে যে, সেখানে মানুষ সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করতে সক্ষম নয় ।